১২:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গাজীপুরে প্রতিবন্ধী নারী পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৪

গাজীপুর সদর উপজেলায় মনিপুরের শ্যামলী মোড়ের পাশে গজারি বনে বন্ধুকে গাছে বেঁধে রেখে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণীকে (২৪) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।

মামলার পর পরই পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু ঘটনার মূল হোতা স্থানীয় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শিপনা আক্তার সুমির ছেলেসহ দুজন এখনো পলাতক রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, পাবনার বেড়া উপজেলার বারোদা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে মুহাম্মদ হান্নান (৩০), গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর গ্রামের লাল চান মিয়ার ছেলে নীরব হোসেন (২১), মনিপুর জৈনাতলা রোডের জহিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া মুহাম্মদ কামাল হোসাইনের ছেলে মুহাম্মদ সোহাগ হোসেন ও গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর গ্রামের মুহাম্মদ রুহুল আমিনের ছেলে আজহার (১৯)। তিনি মনিপুর শহীদের মোড় আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণী বছরখানেক আগে গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর এলাকার একটি কারখানায় হেলপার পদে চাকরি নেন। এ সুবাদে তার একই কারখানায় এক অপারেটরের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারা দুজনেই শেরপুর জেলার বাসিন্দা।

গত সোমবার মনিপুর শ্যামলী মোড় এলাকায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভাড়া বাসার পাশে ফুচকা খাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন ওই কিশোরী। পরে তার সেই সহকর্মীর সঙ্গে দেখা হলে দুজনে কথা বলার জন্য রাস্তার পাশেই সরকারি গজারি বাগানের রাস্তা দিয়ে হাটেন। পরে সেখানে উল্লিখিত আসামিরা দুজনকে প্রথমে ধরে গজারি বনের ভেতরে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে সহকর্মীকে বেঁধে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে এবং ২০ হাজার টাকা দাবি করে আসামি হান্নান।

বাকি আসামিরা ওই তরুণীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গজারি বনের ভেতরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে রাত ৮টার সময় স্থানীয়রা গজারি বনের ভেতরে লোকজনের আনাগোনা দেখে এগিয়ে এলে ঘটনা কাউকে বললে ভিকটিমকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে পথচারীরা ভিকটিমকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহতাব উদ্দিন জানান, ওই তরুণী অসুস্থ থাকায় থানায় মামলা করতে দেরি হয়েছে। অভিযুক্ত চারজনকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের দ্রুত সময়ে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।

বিজ্ঞাপন

মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’খ্যাত আক্তার নেসা আর নেই

দয়া করে এই ওয়েব সাইট থেকে কপি করার চেষ্টা বন্ধ করুন।

গাজীপুরে প্রতিবন্ধী নারী পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৪

প্রকাশ ০৯:৪১:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩

গাজীপুর সদর উপজেলায় মনিপুরের শ্যামলী মোড়ের পাশে গজারি বনে বন্ধুকে গাছে বেঁধে রেখে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণীকে (২৪) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।

মামলার পর পরই পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু ঘটনার মূল হোতা স্থানীয় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শিপনা আক্তার সুমির ছেলেসহ দুজন এখনো পলাতক রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, পাবনার বেড়া উপজেলার বারোদা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে মুহাম্মদ হান্নান (৩০), গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর গ্রামের লাল চান মিয়ার ছেলে নীরব হোসেন (২১), মনিপুর জৈনাতলা রোডের জহিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া মুহাম্মদ কামাল হোসাইনের ছেলে মুহাম্মদ সোহাগ হোসেন ও গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর গ্রামের মুহাম্মদ রুহুল আমিনের ছেলে আজহার (১৯)। তিনি মনিপুর শহীদের মোড় আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণী বছরখানেক আগে গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর এলাকার একটি কারখানায় হেলপার পদে চাকরি নেন। এ সুবাদে তার একই কারখানায় এক অপারেটরের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারা দুজনেই শেরপুর জেলার বাসিন্দা।

গত সোমবার মনিপুর শ্যামলী মোড় এলাকায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভাড়া বাসার পাশে ফুচকা খাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন ওই কিশোরী। পরে তার সেই সহকর্মীর সঙ্গে দেখা হলে দুজনে কথা বলার জন্য রাস্তার পাশেই সরকারি গজারি বাগানের রাস্তা দিয়ে হাটেন। পরে সেখানে উল্লিখিত আসামিরা দুজনকে প্রথমে ধরে গজারি বনের ভেতরে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে সহকর্মীকে বেঁধে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে এবং ২০ হাজার টাকা দাবি করে আসামি হান্নান।

বাকি আসামিরা ওই তরুণীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গজারি বনের ভেতরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে রাত ৮টার সময় স্থানীয়রা গজারি বনের ভেতরে লোকজনের আনাগোনা দেখে এগিয়ে এলে ঘটনা কাউকে বললে ভিকটিমকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে পথচারীরা ভিকটিমকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহতাব উদ্দিন জানান, ওই তরুণী অসুস্থ থাকায় থানায় মামলা করতে দেরি হয়েছে। অভিযুক্ত চারজনকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের দ্রুত সময়ে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।