গাজীপুরে পুলিশের বাধা ও নিজ দলে বিভক্তির ফলে বিএনপির ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে পারেনি মহানগর বিএনপি। শনিবার ১১টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে পুলিশের বেষ্টনি বেদ করে পদযাত্রা বের হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে পুলিশের বাধার মুখে মহানগর বিএনপি পদযাত্রা না করে বিক্ষোভ সভা করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির সদস্য মীর হালিমুজ্জামান ননী। সচিব শওকত হোসেন সরকারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ.জেড. এম জাহিদ হোসেন, বক্তব্য দেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্ট্রার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী সদস্য ডাক্তার মাজহারুল আলম, এড. মেহেদী হাসান এলিস, সুরুজ আহমেদ, আকম মোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
অপর দিকে বিএনপির শান্তিপদযাত্রা বাস্তবায়নে ৯০ দশকের ছাত্রনেতারা পৃথকভাবে পদযাত্রা সফল করেছে। দুপুর ১২টার দিকে মহানগরীর জজ কোর্ট এলাকা থেকে তারা একটি বিশাল পদযাত্রা নিয়ে শহরের মধ্য ছায়াবিথীর জোড়পুকুর গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক এড. আব্দুস সালাম শামীম এর সভাপতিত্বে এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিটি কাউন্সিলর হান্নান মিয়া হান্নুর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সাবেক ভিপি ও টিভি অভিনেতা আশরাফ হোসেন টুলু, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও টঙ্গী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি সরাফত হোসেন খান, মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ভাট, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বশির আহাম্মেদ বাচ্চু, হুমায়ূন কবির রাজু, সাবেক ভিপি জয়নাল আবেদীন তালুকদার, সাবেক জিএস নাসিমুল ইসলাম মনির, সিটি কাউন্সিলর তানভীর হোসেন, কোনাবাড়ি থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি রবিউল আলম রবি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক খান ও জাসাস গাজীপুর মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক কৌশিক আহাম্মেদ প্রমুখ। সম্প্রতিককালে গাজীপুর মহানগর বিএনপির বর্তমান আহবায়ক কমিটির বিরোধীতা করে তারা প্রকাশে আলাদা কর্মসূচী পালন করছে।
এদিকে যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পার্শ¦বর্তী তাদের পার্টি অফিসের সামনের জড়ো হয়। এসময় অজ্ঞাত কয়েকজন যুবক আওয়ামী লীগ বিএনপি অফিসের মাঝামাঝি রাজবাড়ি রোর্ডের কেবির মার্কেট বরাবর কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে তাৎক্ষনিক ওই এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে এবং পথচারিরা দিকবিদিক ছুটাছুটি শুরু করে।
গাজীপুর মেট্রো সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ জিয়াউল ইসলাম জানান, দুই দলের পান্টাপাল্টি কর্মসূচির ফলে পরিবেশ একটু উত্তপ্ত ছিল। ফলে পরিবেশ শান্ত রাখতে কাউকেই সড়কে নামতে দেওয়া হয় নাই। তিনি ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়ে অবগত নন বলে জানান।