০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু, কর্তৃপক্ষের দাবি হায়াত শেষ

চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু, কর্তৃপক্ষের দাবি হায়াত শেষ

Advertisements
Advertisements
Advertisements
Advertisements

রাজধানীর উত্তরায় নসট্রাম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের অবহেলায় নাদিম শেখ (২৮) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল কতৃপক্ষের দাবী হায়াত শেষ তাই মারা গেছে। এমন মন্তব্যের পর রোগীর স্বজনরা পুলিশের সামনেই হাসপাতালের এমডিকে মারধর দিয়েছেন।

রোববার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের ওই হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে উত্তরা পূর্ব থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহত নাদিম শেখ গাজীপুরের টঙ্গীর চেরাগ আলী এলাকার ইমার দিঘীর পাড়ের যুবলীগ নেতা মো. খোকন শেখের ছেলে।

স্বজনদের দাবী, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাত ১টার দিকে নসট্রাম হাসপাতালে ভর্তি হন নাদিম শেখ। চার দিনের মাথায় রোববার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন।

ঘটনা প্রসঙ্গে নাদিমের চাচা মোজাম্মেল হক গাজী খোলা কাগজকে বলেন, সকাল থেকে রোগীর অবস্থা খুব খারাপ। আমরা ডাক্তার, সিস্টার (নার্স) খুঁজতে থাকি, কেউ আসেনি। সকাল ১০টার পর ডিউটি ডাক্তার গিয়ে দেখেছে। তারপর ৭-৮টা টেস্ট করায়।

টেস্টের রিপোর্টে ব্লাডের রেড সেল ছিল ৫২। কিন্তু স্বাভাবিক রেড সেল থাকার কথা ছিল ৪০ থেকে ৪৫। ৫২ যখন থাকবে তখন তাকে আইসিইউ সাপোর্ট দিতে হবে। কারণ সে যেকোনো মুহূর্তে স্ট্রোক করতে পারে। ব্রেন হ্যামারিংও হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ওই সময় তাকে আইসিইউ সাপোর্ট না দিয়ে ওই অবস্থাতেই রেখে দিয়েছে।

অভিযোগ করে মোজাম্মেল গাজী বলেন, ‘যখন এই অবস্থায় ব্লাডের রেড সেল বেড়ে গেছে, তখন হাসপাতালের লোকজন আইসিইউতে দিল না, মারা যাওয়ার পর আইসিইউতে দিয়েছে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, আমাদের চিকিৎসার কোনো কমতি ছিলনা, রোগীর হায়াত শেষ তাই মারা গেছে।

কতৃপক্ষের এমন মন্তব্যে খোভে ফুঁসে ওঠেন উপস্থিত স্বজনরা। এক পর্যায়ে থানা পুলিশের সামনেই তাকে মারধর করা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

নাদিমের মৃত্যুর খবর জানতে পেরে সন্ধ্যায় হাসপাতালে আসেন গাজীপুরের সিটি কপোরশেনর ৪৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরু। হাসপাতাল থেকে রোগীর মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, আমরা এখন লাশ নিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করবে। কারও অবহেলা পেলে ব্যবস্থা নিবে। দুই-তিনদিন পর আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসবো। যদি তারা সঠিক ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

ঘটনাস্থলে থাকা উত্তরা পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হাসান বলেন, রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, রোগী বেঁচে থাকতে তাকে আইসিইউতে নেয়নি, মারা যাওয়ার পর আইসিইউতে নিয়েছে। রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বজন ও হাসপাতালের লোকজনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল। পরে ৯৯৯–এর মাধ্যমে খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।

Slide Up
x
Advertisements

বিজ্ঞাপন

পূবাইল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

দয়া করে এই ওয়েব সাইট থেকে কপি করার চেষ্টা বন্ধ করুন।

চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু, কর্তৃপক্ষের দাবি হায়াত শেষ

প্রকাশ ০৪:৫৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩
Advertisements
Advertisements
Advertisements
Advertisements

রাজধানীর উত্তরায় নসট্রাম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের অবহেলায় নাদিম শেখ (২৮) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল কতৃপক্ষের দাবী হায়াত শেষ তাই মারা গেছে। এমন মন্তব্যের পর রোগীর স্বজনরা পুলিশের সামনেই হাসপাতালের এমডিকে মারধর দিয়েছেন।

রোববার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের ওই হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে উত্তরা পূর্ব থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহত নাদিম শেখ গাজীপুরের টঙ্গীর চেরাগ আলী এলাকার ইমার দিঘীর পাড়ের যুবলীগ নেতা মো. খোকন শেখের ছেলে।

স্বজনদের দাবী, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাত ১টার দিকে নসট্রাম হাসপাতালে ভর্তি হন নাদিম শেখ। চার দিনের মাথায় রোববার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন।

ঘটনা প্রসঙ্গে নাদিমের চাচা মোজাম্মেল হক গাজী খোলা কাগজকে বলেন, সকাল থেকে রোগীর অবস্থা খুব খারাপ। আমরা ডাক্তার, সিস্টার (নার্স) খুঁজতে থাকি, কেউ আসেনি। সকাল ১০টার পর ডিউটি ডাক্তার গিয়ে দেখেছে। তারপর ৭-৮টা টেস্ট করায়।

টেস্টের রিপোর্টে ব্লাডের রেড সেল ছিল ৫২। কিন্তু স্বাভাবিক রেড সেল থাকার কথা ছিল ৪০ থেকে ৪৫। ৫২ যখন থাকবে তখন তাকে আইসিইউ সাপোর্ট দিতে হবে। কারণ সে যেকোনো মুহূর্তে স্ট্রোক করতে পারে। ব্রেন হ্যামারিংও হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ওই সময় তাকে আইসিইউ সাপোর্ট না দিয়ে ওই অবস্থাতেই রেখে দিয়েছে।

অভিযোগ করে মোজাম্মেল গাজী বলেন, ‘যখন এই অবস্থায় ব্লাডের রেড সেল বেড়ে গেছে, তখন হাসপাতালের লোকজন আইসিইউতে দিল না, মারা যাওয়ার পর আইসিইউতে দিয়েছে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, আমাদের চিকিৎসার কোনো কমতি ছিলনা, রোগীর হায়াত শেষ তাই মারা গেছে।

কতৃপক্ষের এমন মন্তব্যে খোভে ফুঁসে ওঠেন উপস্থিত স্বজনরা। এক পর্যায়ে থানা পুলিশের সামনেই তাকে মারধর করা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

নাদিমের মৃত্যুর খবর জানতে পেরে সন্ধ্যায় হাসপাতালে আসেন গাজীপুরের সিটি কপোরশেনর ৪৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরু। হাসপাতাল থেকে রোগীর মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, আমরা এখন লাশ নিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করবে। কারও অবহেলা পেলে ব্যবস্থা নিবে। দুই-তিনদিন পর আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসবো। যদি তারা সঠিক ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

ঘটনাস্থলে থাকা উত্তরা পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হাসান বলেন, রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, রোগী বেঁচে থাকতে তাকে আইসিইউতে নেয়নি, মারা যাওয়ার পর আইসিইউতে নিয়েছে। রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বজন ও হাসপাতালের লোকজনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল। পরে ৯৯৯–এর মাধ্যমে খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।

Slide Up
x
Advertisements