গাজীপুরের টঙ্গীতে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহের কালে এক নারী সংবাদকর্মীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার( ১৮ই মে) সন্ধ্যায় টঙ্গীর ৪৪নং ওয়ার্ড গোপালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলা শিকারি ওই নারী সংবাদকর্মীর নাম নাজনীন (২৯) সে ডেইলি লাইফ নিউজ ২৪ এ কর্মরত আছে। এঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী সংবাদ কর্মী।

অভিযুক্তরা হলেন, পাইলট, মুক্তকার হোসেন রতন, সাইফুল ইসলাম বাবু, সোহেল ও সুমন।
জানাযায়, বৃহস্পতিবার টেবিল ঘড়ি মার্কার স্বতন্ত্র মেয়ের প্রার্থী জায়েদা খাতুন নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন টঙ্গীর ৪৪ নং ওয়ার্ডে। এ সময় অতর্কিতভাবে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এর মা ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন এর গাড়ি বহরে হামলা চালান দুর্বৃত্তরা। হামলার দৃশ্য ধারণ করতে গেলে দুর্বৃত্তরা ডেইলি লাইফ ২৪ এর গাড়ি ও সংবাদ কর্মীদের উপর হামলা চালায় এ সময় সংবাদ কর্মী নাজনীন, গাড়ির ড্রাইভার সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।
টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন এর গাড়ি বহরের হামলার ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানা আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেছে জায়েদা খাতুনের গাড়ির ড্রাইভার শায়ের মাহমুদ শুভ।
প্রার্থী জায়েদা খাতুনের ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখানে সুষ্টু ভোট দেন। সুষ্টু ভোট দিলে দেখবেন আজমত উল্লা কতবড় সন্ত্রাসী। কতবড় নাটকবাজ। কতমানুষের ক্ষতি করেছে টঙ্গী গাজীপুরে। সেটা প্রামান হবে। সেজন্য আমি আবারও নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি এখানে যদি নিরপেক্ষ ভোট হয় তাহলে ভোট করেন। না হলে ভোট বন্ধ করেন।
তিনি পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারাও তো কোনো মায়ের সন্তান। একজন মায়ের ওপর যখন আঘাত আসলো, তখন আপনাদের কী করা উচিত।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম থানায় এসেছিলেন। হামলার ঘটনায় তাদের গাড়ি চালক শুভ বাদী হয়ে সুলতান ও আশরাফুলের নাম উল্লেখ্যকরে থানায় একটি অভিযোগ জমা দেন। এ ঘটনার পৃথক আরো একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন নাজনীন নামের এক সংবাদ কর্মী। তিনি অভিযোগ ৫ জনকে আসামি করেছেন।
এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন,প্রত্যেক প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার সমান অধিকার রয়েছে। যদি কোথাও হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, তবে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ বা মামলা করলে ব্যবস্থা নেবে। ব্যবস্থা না নিলে আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব। সংবাদ কর্মীর উপর হামলার ঘটনাটি আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।