১১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রশাসনের নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ 

টঙ্গীতে সড়ক দখল করে অস্থায়ী দোকান নির্মাণ

  • মো.রবিউল ইসলাম
  • প্রকাশ ০৩:০০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩
  • ৭৭৬ পড়া হয়েছে

টঙ্গীতে সড়ক দখল করে অস্থায়ী দোকান নির্মাণ

গাজীপুরে টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকায় ফুটপাত দখল করে অবৈধ অস্থায়ী দোকান নির্মাণ করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক হোসেন ও স্থানীয় আওয়ামী অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তরা হলেন,৪৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা.আলাউদ্দিন, যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান সৈনিক।
জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সড়ক দখল করে ৮ থেকে ১০ টি অস্থায়ী দোকান স্থাপন করেন স্থানীয় পাতি নেতারা। এর বিনিময়ে দোকানদের কাছ থেকে ২০-৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তারা। প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়েও টাকা উত্তোলন করে এই চক্রটি। এসব দোকানে সংযোগ দেওয়া বিদ্যুৎগুলো ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই ডিস্কোর বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে অবৈধ ভাবে সংযোগ দেওয়া। এতে যেমন বাড়ছে অগ্নিকাণ্ডের ঝুকি ঠিক তেমনি সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার এসব অবৈধ অস্থায়ী দোকানের কারণে এলাকার প্রবেশমুখে দেখা দিচ্ছে তীব্র যানজট। এতে নিম্নবিত্তদের মার্কেট খ্যাত এরশাদনগর বড় বাজার মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা গ্রাহকদের পরতে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। অপরদিকে এসব অস্থায়ী নিম্নমানের কসমেটিক্স দোকানের জন্য ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে মার্কেটের প্রসাধনীর দোকানগুলো। এতে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগের বিষয়ে ৪৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ফারুক আহম্মেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে অনেকটা দায় সারা বক্তব্য দেন তিনি। তিনি বলেন, এ বছর যেহেতু করে ফেলেছে এখন আর কিছু করণীয় নাই। আগামী বছর এসব অবৈধ অস্থায়ী দোকান আর নির্মাণ হবে না।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ডা. আলাউদ্দিন বলেন, অন্যান্য এলাকায় বিভিন্ন মিল কারখানা আছে নেতাদের ইনকামের পথ আছে। এরশাদনগরে তেমন কিছু নেই। প্রতিবার এখানে কিছু দোকান স্থাপন করে কিছু টাকা পাওয়া যায় সেটা দিয়ে নেতাকর্মীরা চা নাস্তা খায়।
টাকার ভাগ কে কে পাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ অন্যান্য সংগঠনের মোট ৫০ জন নেতা কর্মী এই টাকায় চা নাস্তা খায়।
এই বিষয় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার অপরাধ দক্ষিণ মাহবুব উজ জামান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি  বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবহার গ্রহণ করার আশ্বাস দেন ।

বিজ্ঞাপন

মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’খ্যাত আক্তার নেসা আর নেই

দয়া করে এই ওয়েব সাইট থেকে কপি করার চেষ্টা বন্ধ করুন।

প্রশাসনের নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ 

টঙ্গীতে সড়ক দখল করে অস্থায়ী দোকান নির্মাণ

প্রকাশ ০৩:০০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩
গাজীপুরে টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকায় ফুটপাত দখল করে অবৈধ অস্থায়ী দোকান নির্মাণ করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক হোসেন ও স্থানীয় আওয়ামী অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তরা হলেন,৪৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা.আলাউদ্দিন, যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান সৈনিক।
জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সড়ক দখল করে ৮ থেকে ১০ টি অস্থায়ী দোকান স্থাপন করেন স্থানীয় পাতি নেতারা। এর বিনিময়ে দোকানদের কাছ থেকে ২০-৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তারা। প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়েও টাকা উত্তোলন করে এই চক্রটি। এসব দোকানে সংযোগ দেওয়া বিদ্যুৎগুলো ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই ডিস্কোর বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে অবৈধ ভাবে সংযোগ দেওয়া। এতে যেমন বাড়ছে অগ্নিকাণ্ডের ঝুকি ঠিক তেমনি সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার এসব অবৈধ অস্থায়ী দোকানের কারণে এলাকার প্রবেশমুখে দেখা দিচ্ছে তীব্র যানজট। এতে নিম্নবিত্তদের মার্কেট খ্যাত এরশাদনগর বড় বাজার মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা গ্রাহকদের পরতে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। অপরদিকে এসব অস্থায়ী নিম্নমানের কসমেটিক্স দোকানের জন্য ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে মার্কেটের প্রসাধনীর দোকানগুলো। এতে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগের বিষয়ে ৪৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ফারুক আহম্মেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে অনেকটা দায় সারা বক্তব্য দেন তিনি। তিনি বলেন, এ বছর যেহেতু করে ফেলেছে এখন আর কিছু করণীয় নাই। আগামী বছর এসব অবৈধ অস্থায়ী দোকান আর নির্মাণ হবে না।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ডা. আলাউদ্দিন বলেন, অন্যান্য এলাকায় বিভিন্ন মিল কারখানা আছে নেতাদের ইনকামের পথ আছে। এরশাদনগরে তেমন কিছু নেই। প্রতিবার এখানে কিছু দোকান স্থাপন করে কিছু টাকা পাওয়া যায় সেটা দিয়ে নেতাকর্মীরা চা নাস্তা খায়।
টাকার ভাগ কে কে পাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ অন্যান্য সংগঠনের মোট ৫০ জন নেতা কর্মী এই টাকায় চা নাস্তা খায়।
এই বিষয় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার অপরাধ দক্ষিণ মাহবুব উজ জামান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি  বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবহার গ্রহণ করার আশ্বাস দেন ।