০৩:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

‘দরকারি টিস্যু-সাবান ব্যবহার এখন বিলাসিতা’

ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্যে নাভিশ্বাস জনজীবনে। অবস্থা- নুন আনতে ফুরোয় পান্তা। সব সামাল দিয়ে একবেলা খাবারের যোগান হলেও মিলছে না নিস্তার। কারণ শুধু ভোগের নয় দাম বেড়েছে ত্যাগের সামগ্রীরও।

গেল কয়েকমাসে খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি লাগাম ছাড়া দাম বেড়েছে টয়লেট্রিস ও কসমেটিকস পণ্যের। ক্রেতারা বলছেন, বাজারের এমন হাল যে টয়লেট শেষে টিস্যু ব্যবহার এবং সাবান দিয়ে হাত ধোয়াও এখন হয়ে গেছে বিলাসিতা।

গত ৩ থেকে ৪ মাসে কয়েক ধাপে ৪০ শতাংশের বেশি বেড়েছে টিস্যু, সাবান, শ্যাম্পুসহ নিত্যব্যবহার্য এসব পণ্যের দাম। বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি কোম্পানির সাবানপ্রতি বেড়েছে অন্তত ২০ টাকা, যা বিদেশি পণ্যে বেড়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। দেশি শ্যাম্পু ৮০ থেকে ১০০ টাকা বাড়লেও বিদেশি শ্যাম্পুর দাম বেড়েছে ২০০ টাকারও বেশি। একই অবস্থা ক্রিম-ফারফিউমহ অন্য পণ্যগুলোর ক্ষেত্রেও। দেশি ফেস ক্রিমে দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা আর বিদেশিগুলোর দাম বেড়েছে ১০০ টাকারও বেশি।

অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্য ব্যবহার দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে দাবি ক্রেতাদের। আর বিক্রেতারা বলছেন, বিক্রি কমে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত লোকসান গুনছেন তারা।

ডলার সংকটে আমদানি বন্ধ থাকায় বিদেশি পণ্যের দাম বাড়ছে দাবি করলেও দেশি পণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য সরকারের নিয়ন্ত্রণহীনতাকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিষয়ঃ

বিজ্ঞাপন

মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’খ্যাত আক্তার নেসা আর নেই

দয়া করে এই ওয়েব সাইট থেকে কপি করার চেষ্টা বন্ধ করুন।

‘দরকারি টিস্যু-সাবান ব্যবহার এখন বিলাসিতা’

প্রকাশ ১২:১৭:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্যে নাভিশ্বাস জনজীবনে। অবস্থা- নুন আনতে ফুরোয় পান্তা। সব সামাল দিয়ে একবেলা খাবারের যোগান হলেও মিলছে না নিস্তার। কারণ শুধু ভোগের নয় দাম বেড়েছে ত্যাগের সামগ্রীরও।

গেল কয়েকমাসে খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি লাগাম ছাড়া দাম বেড়েছে টয়লেট্রিস ও কসমেটিকস পণ্যের। ক্রেতারা বলছেন, বাজারের এমন হাল যে টয়লেট শেষে টিস্যু ব্যবহার এবং সাবান দিয়ে হাত ধোয়াও এখন হয়ে গেছে বিলাসিতা।

গত ৩ থেকে ৪ মাসে কয়েক ধাপে ৪০ শতাংশের বেশি বেড়েছে টিস্যু, সাবান, শ্যাম্পুসহ নিত্যব্যবহার্য এসব পণ্যের দাম। বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি কোম্পানির সাবানপ্রতি বেড়েছে অন্তত ২০ টাকা, যা বিদেশি পণ্যে বেড়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। দেশি শ্যাম্পু ৮০ থেকে ১০০ টাকা বাড়লেও বিদেশি শ্যাম্পুর দাম বেড়েছে ২০০ টাকারও বেশি। একই অবস্থা ক্রিম-ফারফিউমহ অন্য পণ্যগুলোর ক্ষেত্রেও। দেশি ফেস ক্রিমে দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা আর বিদেশিগুলোর দাম বেড়েছে ১০০ টাকারও বেশি।

অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্য ব্যবহার দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে দাবি ক্রেতাদের। আর বিক্রেতারা বলছেন, বিক্রি কমে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত লোকসান গুনছেন তারা।

ডলার সংকটে আমদানি বন্ধ থাকায় বিদেশি পণ্যের দাম বাড়ছে দাবি করলেও দেশি পণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য সরকারের নিয়ন্ত্রণহীনতাকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।