গাজীপুরের টঙ্গীতে গত ৩০ জানুয়ারি সোমবার বিকালে টঙ্গীর দত্তপাড়া ব্র্যাক টাউন এলাকায় ৪৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরুর পৈতৃক সম্পত্তি জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ উঠে কথিত যুবলীগ নেতা সোহেল রানার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা সম্পত্তি দখল করতে বাধা দেওয়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর ইসলাম নুরুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সূত্রে জানা যায়, দত্তপাড়া মৌজায় এসএ ৩৬৩ আরএস ৫২১ নং খতিয়ান ভুক্ত, সাবেক ১০৮৩ আর এ ২৫২৯ নং দাগের ৮৭ শতাংশ জমির পৈতৃক সম্পত্তি মালিক গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নুরুল ইসলাম নুরু। বিরোধ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সৃষ্টির লক্ষ্যে ফাতেমা আক্তার থেকে কেনা ওই জমির থেকে ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করে ২০১৪ সালে আদালতে দেওয়ানি মামলা করেন নূরুল ইসলাম জনি এক ব্যক্তি। জানা গেছে ওই জমির আসল মালিক ফাতেমা আক্তার অনেক বছর আগেই মারা গেছেন । পূর্বে ওই জমি একাধিকবার বিক্রি হয়ে শেষ মুহূর্তে এসে বিক্রি হয় কাউন্সিলার নুরুল ইসলাম নুরুর পরিবারের এর কাছে । এর পর জমিটি পৈত্রিক সূত্রের পান কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরু। সেই থেকে কয়েক যুগ ধরে কমিটি তার দখলেই আছে বলে ।
এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, নুরুল ইসলাম জনি নামক ব্যক্তির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে সাবেক টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের নেতা ও বর্তমানে যুবলীগের সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভূমিদস্য, ছিনতাই, ডাকাতি, চুরি ও কিশোর গ্যাংয়ের বিভিন্ন অপরাধের শেল্টার দাতা সোহেল রানার সহ দীর্ঘদিন যাবত কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরুদের ওয়ারিশের জমিটি দখলের পাঁয়তারা করে আসছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোন এক রাজনৈতিক দলের অদৃশ্য ক্ষমতার অধিকারী হয়ে টঙ্গী সহ গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে কিশোর গ্যাংয়ের ধারায় মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধের শেল্টার দাতা এই সোহেল রানা। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোনো এক অদৃশ্য ক্ষমতার কারণে ধোঁয়া ছোঁয়ার বাইরে রয়ে জান এই সোহেল রানা।
এ ব্যাপারে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোমবার বিকালে নুরুল ইসলাম জনি ও নামধারী যুবলীগ নেতা সোহেল রানা তার লোকজন নিয়ে আমার জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। দত্তপাড়া মৌজায় এসএ ৩৬৩ আরএস ৫২১ নং খতিয়ান ভুক্ত, সাবেক ১০৮৩ আর এ ২৫২৯ নং দাগের ৮৭ শতাংশ জমির পৈতৃক সম্পত্তি মালিক আমরা। বিষয়টি থানা পুলিশকেও অবহিত করিলে, পুলিশ এসে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয়। আমার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট ।
এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা সোহেল রানার মুঠোফোনে যোগাযোগ করল তার ফোনটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, সোমবার দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সীমানাপ্রাচীর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখনো কাজ বন্ধ রয়েছে।