গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী প্রচারণামূলক বা শুভেচ্ছা জানিয়ে লাগানো পোস্টার, ব্যানারসহ বিভিন্ন প্রচারপত্র স্ব-উদ্যোগে ও নিজ খরচে অপসারণ এবং দেয়ালে লিখন মুছে ফেলার জন্য গত ৮ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ছিল সময়সীমা। কিন্তু দিন গড়িয়ে বিকাল হলেও সর্বত্র শোভা পাচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণামূলক বা শুভেচ্ছা জানিয়ে লাগানো পোস্টার, ব্যানারসহ বিভিন্ন প্রচারপত্র।
বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক, অলিগলিতে দেখা গেছে, সিটি নির্বাচনের প্রচারণামূলক বা ভোটারদের শুভেচ্ছা জানিয়ে লাগানো পোস্টার ও ব্যানার কোনো প্রার্থী অপসারণ করেননি। উল্টো মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, তাদের সমর্থকরা নতুন করে বিভিন্ন বাসাবাড়ির দেয়াল, বিভিন্ন স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাঁটানো হয়েছে নির্বাচনী শুভেচ্ছামূলক পোস্টার ও ব্যানার। এছাড়াও সিটি কর্পোরেশনের ৪৯ নম্বর টঙ্গীর এরশাদনগর, ৫০ নম্বর ওয়ার্ড গাজীপুরা, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড হোসেন মার্কেট, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড ও ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরেও কোথাও পোস্টার ব্যানার সরিয়ে নেয়ার চিত্র দেয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণবিধি) বিধিমালা, ২০১৬ এর ৫বিধি অনুযায়ী কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোনো নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।
এরপরও গাজীপুর সিটির অধিকাংশ এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণামূলক বা শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভিন্ন ধরণের পোস্টার, ব্যানার, স্টিকার, বিলবোর্ড, লিফলেট লাগানো হয়েছে। দেয়ালে লিখন দেখা যাচ্ছে। এ ধরণের কার্যক্রম সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর সুস্পস্ট লঙ্ঘন।
তিনি আরও বলেন, নির্দেশনা অমান্য করে যারা নির্বাচনী প্রচারণামূলক বা শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভিন্ন ধরণের পোস্টার, ব্যানার, স্টিকার, বিলবোর্ড, লিফলেট নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেননি তাদের বিরুদ্ধে শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) থেকে অভিযান নামবো। আমরা বলতে চাচ্ছি যে, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেই সঙ্গে নির্বাচনী বিধিমালায় যা আছে সেভাবেই আমরা কাজ করবো।
আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ৫ এপ্রিল সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।