১১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মনোনয়ন বাতিলের পর যা বললেন জাহাঙ্গীর আলম

  • মো.রবিউল ইসলাম :
  • প্রকাশ ০৮:৫৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
  • ৪৮০ পড়া হয়েছে

মনোনয়ন বাতিলের পর যা বললেন জাহাঙ্গীর আলম

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী বিদ্রোহী) সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, কোন অদৃশ্য চাপে নির্বাচন কমিশনারের যে নিরপেক্ষতা ছিল, তা থেকে তারা সরে গেছে। আমি ন্যায় বিচার চাই। আমি আপিল করবো, প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টে যাব। আমি সবশেষ লড়াই করে যাব।’

রোববার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা হওয়ার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

 

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যেহেতু ব্যাংক টাকা পাবে, ব্যাংকে টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) নাম দিয়ে আমার নমিনেশন বাতিল করেছে। আমি ন্যায় বিচার চাই। গাজীপুরের মানুষকে রক্ষা করতে চাই। দেশবাসীর কাছে জানতে চাই একজন প্রার্থী হিসেবে, একজন মানুষ হিসেবে, আমি ন্যায় বিচার পেতে পারি কী না? সেজন্যে আমি সবার সহযোগিতা চাই। আমি চাই নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছতার মধ্যে যেন কাজটা করে। আমি অবশ্যই আপিলে যাবো। আমি এটার সবশেষ দেখব।

 

তিনি আরও বলেন, সত্যের জয়ের জন্য আমি লড়াই করছি। আমি সবশেষ পর্যন্ত দেখে যাব। আমি রাষ্ট্র-সরকার-বিচার বিভাগ এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে পক্ষে নিরপেক্ষতা আশা করছি, আমি সবার সহযোগিতা চাই। আমাদের সিটি করপোরেশনের সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার টুকু বাঁচানোর জন্য আমি চেষ্টা করছি।

 

ব্যাংকের লোন পরিশোধ বিষয়ে জাহাঙ্গীর বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মধ্যে কোনাবাড়ি এলাকায় কোরিয়ান মালিকানাধীন

একটি কম্পোজিট কারখানা রয়েছে। ওই কোম্পানির মধ্যে আমার কোনও শেয়ার নেই। কোনও লভ্যাংশও নেই না। তবুও হাজার হাজার শ্রমিকদের বাঁচানোর জন্য মানবিক কারণে আমার নিজের সম্পদ দিয়েছি। ওই ব্যাংকের মর্টগেজ নিয়ে সেই কোরিয়ান মালিক

লোন নিয়ে কারখানাটি চালু রেখেছে। করোনা মহামারির কারণে কোরিয়ানরা ব্যাংকে যথাসময়ে ওই পেমেন্ট দিতে পারেনি। আমি

প্রার্থী হওয়ার পর গত ১১ এপ্রিল ও ১৮ এপ্রিল কোরিয়ানরা বাংলাদেশ ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের যে পাওনা ছিল তা পরিশোধ করেছে।

 

কোরিয়ান কোম্পনি ১৭ এপ্রিল অগ্রণী ব্যাংকের পাওনা টাকা পরিশোধ করেছে। সেই সমস্ত কাগজপত্র আইনজীবী এবং ব্যাংক

কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়েছে। তারপরও আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

 

এদিকে নির্বাচন কমিশন জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন বাতিল করলেও নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে।

 

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাইয়ের দিন ছিল আজ (৩০ এপ্রিল)। বেলা ১১টায় গাজীপুর

সিটি করপোরেশনের রিটানিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম তার কার্যালয় শহরের বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই

শেষে সাবেক মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, মেয়র পদের অপর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন ও অলিউর রহমানের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের রিটানিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ঋণ খেলাপি হওয়ায় জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’খ্যাত আক্তার নেসা আর নেই

দয়া করে এই ওয়েব সাইট থেকে কপি করার চেষ্টা বন্ধ করুন।

মনোনয়ন বাতিলের পর যা বললেন জাহাঙ্গীর আলম

প্রকাশ ০৮:৫৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী বিদ্রোহী) সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, কোন অদৃশ্য চাপে নির্বাচন কমিশনারের যে নিরপেক্ষতা ছিল, তা থেকে তারা সরে গেছে। আমি ন্যায় বিচার চাই। আমি আপিল করবো, প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টে যাব। আমি সবশেষ লড়াই করে যাব।’

রোববার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা হওয়ার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

 

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যেহেতু ব্যাংক টাকা পাবে, ব্যাংকে টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) নাম দিয়ে আমার নমিনেশন বাতিল করেছে। আমি ন্যায় বিচার চাই। গাজীপুরের মানুষকে রক্ষা করতে চাই। দেশবাসীর কাছে জানতে চাই একজন প্রার্থী হিসেবে, একজন মানুষ হিসেবে, আমি ন্যায় বিচার পেতে পারি কী না? সেজন্যে আমি সবার সহযোগিতা চাই। আমি চাই নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছতার মধ্যে যেন কাজটা করে। আমি অবশ্যই আপিলে যাবো। আমি এটার সবশেষ দেখব।

 

তিনি আরও বলেন, সত্যের জয়ের জন্য আমি লড়াই করছি। আমি সবশেষ পর্যন্ত দেখে যাব। আমি রাষ্ট্র-সরকার-বিচার বিভাগ এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে পক্ষে নিরপেক্ষতা আশা করছি, আমি সবার সহযোগিতা চাই। আমাদের সিটি করপোরেশনের সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার টুকু বাঁচানোর জন্য আমি চেষ্টা করছি।

 

ব্যাংকের লোন পরিশোধ বিষয়ে জাহাঙ্গীর বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মধ্যে কোনাবাড়ি এলাকায় কোরিয়ান মালিকানাধীন

একটি কম্পোজিট কারখানা রয়েছে। ওই কোম্পানির মধ্যে আমার কোনও শেয়ার নেই। কোনও লভ্যাংশও নেই না। তবুও হাজার হাজার শ্রমিকদের বাঁচানোর জন্য মানবিক কারণে আমার নিজের সম্পদ দিয়েছি। ওই ব্যাংকের মর্টগেজ নিয়ে সেই কোরিয়ান মালিক

লোন নিয়ে কারখানাটি চালু রেখেছে। করোনা মহামারির কারণে কোরিয়ানরা ব্যাংকে যথাসময়ে ওই পেমেন্ট দিতে পারেনি। আমি

প্রার্থী হওয়ার পর গত ১১ এপ্রিল ও ১৮ এপ্রিল কোরিয়ানরা বাংলাদেশ ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের যে পাওনা ছিল তা পরিশোধ করেছে।

 

কোরিয়ান কোম্পনি ১৭ এপ্রিল অগ্রণী ব্যাংকের পাওনা টাকা পরিশোধ করেছে। সেই সমস্ত কাগজপত্র আইনজীবী এবং ব্যাংক

কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়েছে। তারপরও আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

 

এদিকে নির্বাচন কমিশন জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন বাতিল করলেও নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে।

 

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাইয়ের দিন ছিল আজ (৩০ এপ্রিল)। বেলা ১১টায় গাজীপুর

সিটি করপোরেশনের রিটানিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম তার কার্যালয় শহরের বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই

শেষে সাবেক মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, মেয়র পদের অপর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন ও অলিউর রহমানের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের রিটানিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ঋণ খেলাপি হওয়ায় জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।