০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

যুবসমাজকে কৃষিকাজে সম্পৃক্ত করার দরকার : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি-পিআইডি

যুবসমাজকে কৃষিকাজে সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের যুবসমাজকে কৃষিকাজে আরও সম্পৃক্ত করার দরকার। আমার মনে হয় স্কুলজীবন থেকে সম্পৃক্ত করা দরকার। মাঠে কাজ করা বা ফসল ফলানো এটা অত্যন্ত গৌরবের বিষয়, লজ্জার বিষয় নয়। সেভাবেই আমাদের দেশের মানুষকে গড়ে তুলতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠান ও বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালীন যখন আমাদের কৃষিশ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না ধান কাটতে আমি যখন আমাদের ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে সহযোগী সংগঠনের সব ছেলেমেয়েকে নির্দেশ দিলাম, তোমরা মাঠে যাও, ধান কাটো কৃষকের পাশে। তারা কিন্তু ধান কেটেছে।’

বঙ্গবন্ধু খাদ্য নিরাপত্তা ও ধান উৎপাদনের গুরুত্বকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, দুনিয়াভরে চেষ্টা করেও আমি চাল কিনতে পারছি না। যদি চাল কিনতে হয় তাহলে আপনাদের চাল পয়দা করে খেতে হবে। ১৯৭৪ সালে গভীর ষড়যন্ত্র ছিল। নগদ অর্থ দিয়ে কেনার খাদ্য বাংলাদেশের প্রবেশ হয় নাই। কৃত্রিমভাবে একটা দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। জাতির পিতা চেয়েছিলেন আমাদের খাদ্য আমরা উৎপাদন করবো। ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট…এটাকে আইন করে, প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে গবেষণার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন।’

তিনি বলেন, এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন, বাংলাদেশের মানুষ উন্নত জীবন পাবে এটাই ছিল তার জীবনের লক্ষ্য। শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য তিনি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

‘আমাদের বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। আমাদের অর্থনীতি কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষকদের সুবিধার জন্য ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মাফ করে দেন। পাকিস্তান আমলে দেওয়া ১০ লাখ সার্টিফিকেট মামলা থেকে কৃষকদের মুক্ত করে দেন। ভূমিহীনদের মধ্যে খাসজমি বিতরণ করা শুরু করেন। গৃহহীনদের জন্য ঘরবাড়ি তৈরি করা শুরু করেন। কৃষিতে বাজেট বরাদ্দে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন।’

জনপ্রিয়

বিজ্ঞাপন

কালিগঞ্জে ইউএনও’র ওপর ইউপি চেয়ারম্যানের হামলা, আহত ৪

দয়া করে এই ওয়েব সাইট থেকে কপি করার চেষ্টা বন্ধ করুন।

যুবসমাজকে কৃষিকাজে সম্পৃক্ত করার দরকার : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ ১১:৩২:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

যুবসমাজকে কৃষিকাজে সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের যুবসমাজকে কৃষিকাজে আরও সম্পৃক্ত করার দরকার। আমার মনে হয় স্কুলজীবন থেকে সম্পৃক্ত করা দরকার। মাঠে কাজ করা বা ফসল ফলানো এটা অত্যন্ত গৌরবের বিষয়, লজ্জার বিষয় নয়। সেভাবেই আমাদের দেশের মানুষকে গড়ে তুলতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠান ও বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালীন যখন আমাদের কৃষিশ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না ধান কাটতে আমি যখন আমাদের ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে সহযোগী সংগঠনের সব ছেলেমেয়েকে নির্দেশ দিলাম, তোমরা মাঠে যাও, ধান কাটো কৃষকের পাশে। তারা কিন্তু ধান কেটেছে।’

বঙ্গবন্ধু খাদ্য নিরাপত্তা ও ধান উৎপাদনের গুরুত্বকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, দুনিয়াভরে চেষ্টা করেও আমি চাল কিনতে পারছি না। যদি চাল কিনতে হয় তাহলে আপনাদের চাল পয়দা করে খেতে হবে। ১৯৭৪ সালে গভীর ষড়যন্ত্র ছিল। নগদ অর্থ দিয়ে কেনার খাদ্য বাংলাদেশের প্রবেশ হয় নাই। কৃত্রিমভাবে একটা দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। জাতির পিতা চেয়েছিলেন আমাদের খাদ্য আমরা উৎপাদন করবো। ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট…এটাকে আইন করে, প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে গবেষণার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন।’

তিনি বলেন, এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন, বাংলাদেশের মানুষ উন্নত জীবন পাবে এটাই ছিল তার জীবনের লক্ষ্য। শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য তিনি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

‘আমাদের বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। আমাদের অর্থনীতি কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষকদের সুবিধার জন্য ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মাফ করে দেন। পাকিস্তান আমলে দেওয়া ১০ লাখ সার্টিফিকেট মামলা থেকে কৃষকদের মুক্ত করে দেন। ভূমিহীনদের মধ্যে খাসজমি বিতরণ করা শুরু করেন। গৃহহীনদের জন্য ঘরবাড়ি তৈরি করা শুরু করেন। কৃষিতে বাজেট বরাদ্দে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন।’