গত শনিবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তুষার। অপরদিকে,তার সমর্থকরা রফিকুল ইসলাম তুষারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগের বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম তুষার বলেন, আমি আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী, আমার দ্বারা আওয়ামী লীগে সুনাম ক্ষুন্ন হবে এমন কর্মকাণ্ড আমি বেঁচে থাকতে কখনোই করব না।
সেই আলোকেই বলতে চাই শনিবার যে ঘটনাটি কালিয়াকৈর ঘটেছে সেই ঘটনার সাথে আমাকে সম্পৃক্ত করে যে তথ্য আমার বিরুদ্ধে প্রচার করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
ঘটনার দিন সারাদিন আমি জরুরী কাজে ঢাকায় ছিলাম। স্থানীয় নেতাকর্মীদের ফোনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার পর ঘটনাটি আমি জানতে পারি। এর আগে এই ঘটনার বিন্দুমাত্র আমি জানতাম না। ঐদিন সন্ধ্যায় নিজ উপজেলায় এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আহতদের খোঁজখবর নেই।
ঘটনাকালে মোবাইল ফোন ও সিসি ক্যামেরা ধারণকৃত বেশ কয়েকটি ছবি হাতে নিয়ে রফিকুল ইসলাম তুষার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্ত্র হাতে কয়েকজন যুবকের যে ছবি ভাইরাল হয়েছে তার একজন এর নাম শরীফ, সে কালিয়াকৈর উপজেলার যুবলীগ নেতা রফিক হত্যা মামলার আসামি।
অপর আরেকজনের ইরাক তার বাড়ি হাবিবপুর তারা যদি ঘটনার সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে না আসে তাহলে তারা দেশীয় এ সকল অস্ত্রশস্ত্র কোথায় পেল।
আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি এটি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেলের পূর্ব পরিকল্পিত সাজানো একটি সংঘর্ষ। তিনি যে স্থানে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছেন সেই স্থানটি একজন বিএনপি’র নেতার বাসস্থান। আমার প্রশ্ন তিনি আওয়ামী লীগ নেতা হয়ে বিএনপির নেতার বাড়িতে কি উন্নয়নমূল কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে গিয়েছিলেন? আমি সর্বোপরি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ ও অনুরোধ করছি এ ঘটনায় যারা দলের সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি দলের কাছে অনুরোধ করছি এ সকল আতঙ্ক সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।