০৭:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩
গাজীপুর সিটি নির্বাচন

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের গাড়ি বহরে হামলা, আহত চার

  • মো.রবিউল ইসলাম
  • প্রকাশ ০৪:৪৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
  • ৬৬৫ পড়া হয়েছে

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের গাড়ি বহরে হামলা, আহত চার

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী প্রচরনার সময় টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলা ও তাদের বহনকারী গাড়ি ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

এসময় প্রার্থী জায়েদা খাতুন ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, ক্যামেরাম্যান সুলতান মিয়া ও আশরাফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন আহত হন বলে জানা যায়।

 

ঘটনার পর জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম পূর্ব থানায় গিয়ে আশ্রয় নেন।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ই মে) বিকাল সাড়ে ৬টায় টঙ্গীর ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোপালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

এঘটনায় মেয়র প্রার্থীর গাড়িচালক শায়ের মাহমুদ শুভ বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি অভিযোগ দেন।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে টঙ্গীর ৪৪ নম্বর পূর্ব গোপালপুর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে গেলে একদল লোক মেয়র প্রার্থী মা জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের গাড়ির উপর হামলা চালায়। পরে হামলাকারীরা মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বহনকারী গাড়ি ও অপর একটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে দ্রুত টঙ্গী পূর্ব থানায় নিয়ে যায়।

 

প্রার্থী জায়েদা খাতুনের ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখানে সুষ্টু ভোট দেন। সুষ্টু ভোট দিলে দেখবেন আজমত উল্লা কতবড় সন্ত্রাসী। কতবড় নাটকবাজ। কতমানুষের ক্ষতি করেছে টঙ্গী গাজীপুরে। সেটা প্রামান হবে। সেজন্য আমি আবারও নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি এখানে যদি নিরপেক্ষ ভোট হয় তাহলে ভোট করেন। না হলে ভোট বন্ধ করেন।

 

তিনি পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারাও তো কোনো মায়ের সন্তান। একজন মায়ের ওপর যখন আঘাত আসলো, তখন আপনাদের কী করা উচিত।

 

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম থানায় এসেছিলেন। হামলার ঘটনায় তাদের গাড়ি চালক শুভ বাদী হয়ে সুলতান ও আশরাফুলের নাম উল্লেখ্যকরে থানায় একটি অভিযোগ জমা দেন।

 

এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন,প্রত্যেক প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার সমান অধিকার রয়েছে। যদি কোথাও হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, তবে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ বা মামলা করলে ব্যবস্থা নেবে। ব্যবস্থা না নিলে আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব।

 

জনপ্রিয়

বিজ্ঞাপন

কালিগঞ্জে ইউএনও’র ওপর ইউপি চেয়ারম্যানের হামলা, আহত ৪

দয়া করে এই ওয়েব সাইট থেকে কপি করার চেষ্টা বন্ধ করুন।

গাজীপুর সিটি নির্বাচন

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের গাড়ি বহরে হামলা, আহত চার

প্রকাশ ০৪:৪৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী প্রচরনার সময় টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলা ও তাদের বহনকারী গাড়ি ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

এসময় প্রার্থী জায়েদা খাতুন ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, ক্যামেরাম্যান সুলতান মিয়া ও আশরাফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন আহত হন বলে জানা যায়।

 

ঘটনার পর জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম পূর্ব থানায় গিয়ে আশ্রয় নেন।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ই মে) বিকাল সাড়ে ৬টায় টঙ্গীর ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোপালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

এঘটনায় মেয়র প্রার্থীর গাড়িচালক শায়ের মাহমুদ শুভ বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি অভিযোগ দেন।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে টঙ্গীর ৪৪ নম্বর পূর্ব গোপালপুর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে গেলে একদল লোক মেয়র প্রার্থী মা জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের গাড়ির উপর হামলা চালায়। পরে হামলাকারীরা মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বহনকারী গাড়ি ও অপর একটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে দ্রুত টঙ্গী পূর্ব থানায় নিয়ে যায়।

 

প্রার্থী জায়েদা খাতুনের ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখানে সুষ্টু ভোট দেন। সুষ্টু ভোট দিলে দেখবেন আজমত উল্লা কতবড় সন্ত্রাসী। কতবড় নাটকবাজ। কতমানুষের ক্ষতি করেছে টঙ্গী গাজীপুরে। সেটা প্রামান হবে। সেজন্য আমি আবারও নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি এখানে যদি নিরপেক্ষ ভোট হয় তাহলে ভোট করেন। না হলে ভোট বন্ধ করেন।

 

তিনি পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারাও তো কোনো মায়ের সন্তান। একজন মায়ের ওপর যখন আঘাত আসলো, তখন আপনাদের কী করা উচিত।

 

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম থানায় এসেছিলেন। হামলার ঘটনায় তাদের গাড়ি চালক শুভ বাদী হয়ে সুলতান ও আশরাফুলের নাম উল্লেখ্যকরে থানায় একটি অভিযোগ জমা দেন।

 

এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন,প্রত্যেক প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার সমান অধিকার রয়েছে। যদি কোথাও হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, তবে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ বা মামলা করলে ব্যবস্থা নেবে। ব্যবস্থা না নিলে আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব।