০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩
বিশ্ব ইজতেমা

৭ দফা দাবি নিয়ে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের সংবাদ সম্মেলন  

৭ দফা দাবি নিয়ে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের সংবাদ সম্মেলন  

মাওলানা সাদ কান্ধালভী অনুসারি তাবলীগ জামাতের মুরুব্বিরা অভিযোগ করে বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা ময়দান নিয়ে তাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। তাদের কোন কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

হেফাজতের মদদপুষ্ট মাওলনা জোবায়ের গ্রুপ মূলত বিদ্রোহী, তারা বিদ্রোহ করে বিশ্ব তাবলীগ মারকাজ দিল্লির নিজামউদ্দিন অনুসারি মূল ধারা থেকে বের হয়ে গিয়েছে। কাকরাইল মসজিদ ও বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাদের কোন বৈধতা নেই। তারা তাবলীগের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বার বার অশান্ত করতে চেষ্টা করছে।

 

বৃহস্পতিবার (২জানুয়ারি) দুপুরে উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলীগ জামাতের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাদ পন্থি মুরুব্বিরা এসব কথা বলেন।

মুরুব্বিরা বলেন, উভয় পক্ষকে একই প্যান্ডেলে ইজতেমা করতে দেওয়া হলেও জোবায়ের গ্রুপকে প্যান্ডেল নির্মাণ ও খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অথচ মূল ধারার জামাতকে কোন কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

 

২০১৮ সালে সাদ পন্থি মূল ধারার অনুসারিরা সরল বিশ্বাসে প্রশাসনের কাছে ইজতেমা ময়দান হস্তান্তর করে। এখন হেফাজত সমর্থিত জোবায়ের পন্থিদের কাছে রহস্য জনক ভাবে একতরফা ইজতেমা ময়দান, ইজতেমা মাদ্রাসা ,ইজতেমা মসজিদ ও গোডাউন ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে।

বিগত চার বছর জোবায়ের গ্রুপকে চার সপ্তাহের জন্য কাকরাইল মসজিদ ব্যবহার করতে দেওয়া হয়, আর সাদ পন্থিদের কাকরাইল মসজিদ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয় মাত্র দুই সপ্তাহের জন্য।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়,হেফাজতে ইসলাম ৭ দফা ঘোষণা করে তাবলীগ জামাতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে। গত কয়েক বছর ধরে তাবলীগের বিভক্তির শুরু থেকে হেফাজত নেতারা সরাসরি হস্তক্ষেপ ও মাদ্রাসা ছাত্রদের ব্যবহার করে তাবলীগের মূল ধারার সাথীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রবাকান্ডা ছড়াচ্ছে এবং তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

 

২০১৮ সালে মাদ্রাসা ছাত্রদের ব্যবহার করে কিশোরগঞ্জে আব্দুর রহিম নামে জনৈক তাবলীগ সাথীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যা করা হয়। জয়পুর হাটে ভারতীয় জামাতের আমীর কে এসিড মিশ্রিত পানি খাওয়ানো হয়। কাকরাইল মসজিদে বিদেশী সাথীদের হেনস্তা করতে পরিকল্পিতভাবে জ্যামার বসানো হয়। এমনি নানা ভাবে সারা দেশে সাদ পন্থি মূল ধারার তাবলীগ অনুসারিদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে।

দুই পক্ষের পৃথক ইজতেমায় যার যার মেহমান আসবে- এটাই স্বাভাবিক, হেফাজতে ইসলামী ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে বিশ্ব তাবলীগ আমীর মাওলানা সাদ কান্ধালভীকে না আসার দাবি জানিয়েছে। এটা তাদের রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি ছাড়া কিছুই না। তৃতীয় পক্ষের উস্কানি, অপপ্রচার ও প্রশাসনের মধ্যে প্রভাব তৈরি করে পক্ষপাতমূলক আচরণ দুঃখ জনক।

 

সাদ পন্থিরা সম্মেলনে ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেন, দাবি গুলো হচ্ছে ঃ প্রশাসনের তদারকিতে দুই পক্ষকে প্যান্ডেল তৈরি ও খোলার দায়িত্ব অর্পণ, কাকরাইল মসজিদ ও ইজতেমা ময়দান থেকে মাদ্রাসা অপসারণ,তাবলীগের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতায় নিরপেক্ষ কমিটি গঠন, কাকরাইল মসজিদ দিল্লির নিজামুদ্দিনের অধিনে পরিচালিত করা, দেশের সকল মসজিদে তাবলীগের কার্যক্রম পরিচালিত করা, বিশ্ব ইজতেমায় সকল মুরুব্বিদের আগমন নিশ্চিত করা ও তৃতীয় পক্ষের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ঊক্তব্য পাঠ করেন. এডভোকেট আব্দুল কুদ্দুস বাদল,উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ সায়েম, এডভোকেট ইউনুস মিয়া, মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহ, ভাই সোহেল ও আতাউল্লাহ।

জনপ্রিয়

বিজ্ঞাপন

কালিগঞ্জে ইউএনও’র ওপর ইউপি চেয়ারম্যানের হামলা, আহত ৪

দয়া করে এই ওয়েব সাইট থেকে কপি করার চেষ্টা বন্ধ করুন।

বিশ্ব ইজতেমা

৭ দফা দাবি নিয়ে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের সংবাদ সম্মেলন  

প্রকাশ ১০:৩৭:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মাওলানা সাদ কান্ধালভী অনুসারি তাবলীগ জামাতের মুরুব্বিরা অভিযোগ করে বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা ময়দান নিয়ে তাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। তাদের কোন কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

হেফাজতের মদদপুষ্ট মাওলনা জোবায়ের গ্রুপ মূলত বিদ্রোহী, তারা বিদ্রোহ করে বিশ্ব তাবলীগ মারকাজ দিল্লির নিজামউদ্দিন অনুসারি মূল ধারা থেকে বের হয়ে গিয়েছে। কাকরাইল মসজিদ ও বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাদের কোন বৈধতা নেই। তারা তাবলীগের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বার বার অশান্ত করতে চেষ্টা করছে।

 

বৃহস্পতিবার (২জানুয়ারি) দুপুরে উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলীগ জামাতের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাদ পন্থি মুরুব্বিরা এসব কথা বলেন।

মুরুব্বিরা বলেন, উভয় পক্ষকে একই প্যান্ডেলে ইজতেমা করতে দেওয়া হলেও জোবায়ের গ্রুপকে প্যান্ডেল নির্মাণ ও খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অথচ মূল ধারার জামাতকে কোন কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

 

২০১৮ সালে সাদ পন্থি মূল ধারার অনুসারিরা সরল বিশ্বাসে প্রশাসনের কাছে ইজতেমা ময়দান হস্তান্তর করে। এখন হেফাজত সমর্থিত জোবায়ের পন্থিদের কাছে রহস্য জনক ভাবে একতরফা ইজতেমা ময়দান, ইজতেমা মাদ্রাসা ,ইজতেমা মসজিদ ও গোডাউন ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে।

বিগত চার বছর জোবায়ের গ্রুপকে চার সপ্তাহের জন্য কাকরাইল মসজিদ ব্যবহার করতে দেওয়া হয়, আর সাদ পন্থিদের কাকরাইল মসজিদ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয় মাত্র দুই সপ্তাহের জন্য।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়,হেফাজতে ইসলাম ৭ দফা ঘোষণা করে তাবলীগ জামাতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে। গত কয়েক বছর ধরে তাবলীগের বিভক্তির শুরু থেকে হেফাজত নেতারা সরাসরি হস্তক্ষেপ ও মাদ্রাসা ছাত্রদের ব্যবহার করে তাবলীগের মূল ধারার সাথীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রবাকান্ডা ছড়াচ্ছে এবং তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

 

২০১৮ সালে মাদ্রাসা ছাত্রদের ব্যবহার করে কিশোরগঞ্জে আব্দুর রহিম নামে জনৈক তাবলীগ সাথীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যা করা হয়। জয়পুর হাটে ভারতীয় জামাতের আমীর কে এসিড মিশ্রিত পানি খাওয়ানো হয়। কাকরাইল মসজিদে বিদেশী সাথীদের হেনস্তা করতে পরিকল্পিতভাবে জ্যামার বসানো হয়। এমনি নানা ভাবে সারা দেশে সাদ পন্থি মূল ধারার তাবলীগ অনুসারিদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে।

দুই পক্ষের পৃথক ইজতেমায় যার যার মেহমান আসবে- এটাই স্বাভাবিক, হেফাজতে ইসলামী ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে বিশ্ব তাবলীগ আমীর মাওলানা সাদ কান্ধালভীকে না আসার দাবি জানিয়েছে। এটা তাদের রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি ছাড়া কিছুই না। তৃতীয় পক্ষের উস্কানি, অপপ্রচার ও প্রশাসনের মধ্যে প্রভাব তৈরি করে পক্ষপাতমূলক আচরণ দুঃখ জনক।

 

সাদ পন্থিরা সম্মেলনে ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেন, দাবি গুলো হচ্ছে ঃ প্রশাসনের তদারকিতে দুই পক্ষকে প্যান্ডেল তৈরি ও খোলার দায়িত্ব অর্পণ, কাকরাইল মসজিদ ও ইজতেমা ময়দান থেকে মাদ্রাসা অপসারণ,তাবলীগের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতায় নিরপেক্ষ কমিটি গঠন, কাকরাইল মসজিদ দিল্লির নিজামুদ্দিনের অধিনে পরিচালিত করা, দেশের সকল মসজিদে তাবলীগের কার্যক্রম পরিচালিত করা, বিশ্ব ইজতেমায় সকল মুরুব্বিদের আগমন নিশ্চিত করা ও তৃতীয় পক্ষের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ঊক্তব্য পাঠ করেন. এডভোকেট আব্দুল কুদ্দুস বাদল,উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ সায়েম, এডভোকেট ইউনুস মিয়া, মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহ, ভাই সোহেল ও আতাউল্লাহ।